Published date 29.4.24
এশিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারনে সৃষ্ট তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, হিটষ্ট্রোকে অনেক মানুষ মারা যাবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। দক্ষিন এশিয়ার একটি দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম কোন দেশ নয় । বাংলাদেশে ও জীবিকার তাগিদে যাদের ঘরের বাইরে থাকতে হয় তারা তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । এমনকি হিটষ্ট্রোকে অকালে অনেকে মারা যাচ্ছেন ।এমনকি বাইরে কাজে না গিয়ে ও যারা ঘরের মধ্যে বসবাস করেন বন উজাড় করে গাছপালা ধ্বংস করে মানুষ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করে ক্ষতি করছে । এমনকি প্রকৃতিকে শান্ত শীতল রাখতে যে বেশি বেশি গাছপালা লাগানো প্রয়োজন সেই গাছপালা লাগানোর প্রয়োজনীয়তা ও ভুলে যাচ্ছে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে , পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) ও মিথেনের মতো বিষাক্ত গ্রিনহাউজ গ্যাস, বিকিরণের মাধ্যমে ক্রমাগত আটকে পড়ছে । আর এই আটকে পড়া তাপই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য প্রধানত দায়ী । । অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে তাপ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে র জন্য । এছাড়া বনাঞ্চল উজার, পরিবহণ ও কলকারখানার ধোঁয়ার কারণে প্রকৃতিতে মিশে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টন বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড। এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ,জলবায়ুর মধ্যে দিনে দিনে পরিবর্তন আসবে।
ভবিষ্যতে পরিবেশ জলবায়ু রক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ না নিলে
তীব্র দাবদাহ খরায় পৃথিবীর পরিবেশ বিপন্ন হবে। আবার সমুদ্র উপকুলবর্তী অনেক দেশের ভুমি সমুদ্রের তলদেশে চির বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বিশ্বের শীর্ষ তিন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারীরা হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দায়ী হলেও আমাদের মত দেশগুলোর মানুষ দের পরিবেশ, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে অসচেতন মনোভাব ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী এর ফলে যুগ যুগ ধরে যে স্বাভাবিক আবহাওয়া জলবায়ু সারা বিশ্বে ছিল তা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।প্রতিবছর বৈশাখ - জৈষ্ঠ্য মাসে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি হয় । অথচ এই ২০২৪ সালে বৈশাখ মাসে একদম ঝড় বৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছেনা ।প্রকৃতি ও হয়ে উঠছে উত্তাপ যুক্ত । ঝড় বৃষ্টির অভাবে তীব্র গরম জেকে বসেছে গোটা এশিয়া সহ বাংলাদেশে ।
বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ এবং তীব্র দাবদাহে জর্জরিত দেশগুলোর প্রকৃতি স্বাভাবিক শীতল করতে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে
১. বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে।
২. জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার করতে হবে । যেমন - সৌর শক্তি , বাযু শক্তি, জল শক্তি ইত্যাদি।
৩. অপরিকল্পিত নগরায়ন পরিবেশের ক্ষতি করছে । নদী খাল বিল ভরাট করে বাড়ি ঘর কলকারখানার সম্প্রসারন , জনসংখ্যার চাপ বৃদ্ধি করে প্রকৃতির ক্ষতি করা হচ্ছে । এতে তীব্র দাবদাহ দেখা দিয়েছে। শহর নগরের সুযোগ সুবিধাগুলোকে থানা উপজেলা গ্রাম পর্যায়ে সম্প্রসারিত করতে হবে। পাশাপাশি গাছপালা নদীনালার ক্ষতি না করে পরিকল্পিত ভাবে শিল্পায়ন সম্প্রসারিত করলে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমে আসবে । প্রকৃতি হবে শীতল ও শান্ত।
৪. কালো ধোয়াযুক্ত যানবাহনের ব্যবহার বন্ধ করে সাইকেলের মত ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন করেনা এমন যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
No comments:
Post a Comment